শীতের আগমনে লেপ-তোষক বানানোর হিড়িক
নিউজ টাইমস ২১ ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ৮:৫৬:২৮ অপরাহ্ন
সিলেটে শীতের আগমনে লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা। দেখতে দেখতে চলে আসলো হালকা শীতের হাওয়া। আর শীত মানেই প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু।
দিনে গরম, রাতে শীত। সন্ধ্যা নামলেই বইতে শুরু করে হিমেল হাওয়া। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে ঠান্ডা। সকালে সবুজ ঘাস ও গাছের পাতায় জমছে শিশির কণা।
সেভাবে শীতের শুরু না হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ। আর এই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে হিড়িক পড়েছে লেপ-তোষক বানানোর কারিগরদের।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা। দোকানের সামনে বসে একটার পর একটা লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত রয়েছেন কারিগররা।
ব্যাবসায়ী সুমন মিয়া বলেন, কয়েকদিন যাবৎ রাতে শীত বেশি পড়ায় লোকজন শীতবস্ত্রের প্রতি ঝুঁকছেন প্রতিদিন আমার এখানে প্রায় ৮-১০টি লেপ-তোশকের অর্ডার হয়ে থাকে। এ বছর তুলা ও কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেশি হচ্ছে।
যেমন- শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, গার্মেন্টস তৈরি কালো হুলু কালা পচা তুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা, সাদা তুলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা ক্রয় করি।
এছাড়াও কাপড়ের গজ মান অনুযায়ী প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। সব মিলিয়ে ভালো মানের একটি লেপ বানাতে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকার মতো খরচ আসে। একই মানের একটি তোষকেও খরচ আসে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।
লেপ-তোষক সেলাইকর্মী সাগর মিয়া বলেন, প্রতিদিন তারা সাত থেকে আটটি লেপ সেলাই করে থাকেন। সাইজ অনুযায়ী প্রতিটি লেপে তারা মুজরি পান ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।
আর সেলাইকর্মীরা সবাই একই নিয়মে মুজরি নিয়ে থাকেন। দিন শেষে ৫’শ থেকে ৮’শ টাকা রোজগার হয় তাদের। তা দিয়েই সংসার চালান তারা।
লেপ কিনতে আশা ক্রেতা আমিরুল ইসলাম জানান, দিনে গরম থাকলেও রাতে ঘুমানোর সময় প্রচন্ড শীত পড়ে। তাই আগে ভাগেই শীতের জন্য একটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।