শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের উপড় জুতা নিক্ষেপ মহিলা সদস্যের!
নিউজ টাইমস ২১ ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:০৬:২৫ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মিনারা বেগম নামে এক ইউপি সদস্যের সাথে নিয়াজ ইকবাল মাসুদ ইউপি সদস্যের ভিজিএফ চাল নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়ে এক পর্যায়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। এর জেড় ধরে মা রামা রি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ মহিলা ইউপি সদস্য মিনারা বেগমকে মা রার জন্য এগিয়ে আসলে মিনারা বেগম পায়ের জুতা খুলে তার উপর নিক্ষেপ করেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজে লার ভুনবীর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লইয়ারকুল এলাকার বাসিন্দা সমিতা বেগম, রুসনা বেগম ইউপি সদস্য মিনারা বেগমের মোবাইল ফোনে অ ভিযোগ করে বলেন, ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার নিয়াজ ইকবাল মাসুদ শীল ও স্বাক্ষর যে কার্ডে থাকবে তারাই শুধু ভিজিএফ চাল পাবে আর ইউপি সদস্য মিনারা বেগমের শিল ও স্বাক্ষর সবগুলা বাতিল হয়ে যাবে। এমন অ ভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদকে জানানোর পর মহিলা সদস্য মিনারা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে ডেকে নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করেন।
এসময় চেয়ারম্যান ও উপস্থিত অন্যান্য ওয়ার্ডের মেম্বারের সামনে নিয়াজ ইকবাল মাসুদ নামে বেশ কয়েকটি অ ভিযোগ তুলে ধরে ধরেন মিনারা বেগম।
মিনারা বেগম জানান, চেয়ারম্যান অফিসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ তার দলবল নিয়ে হা মলা করতে আসেন, এসময় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তার উপর আক্রমনের উদ্দেশে এগিয়ে আসলে নিজেকে রক্ষা করতে পায়ের জুতা খুলে মাসুক মিয়ার উপর ছুঁড়ে মা রেন তিনি।
মিনারা বেগম অ ভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ বিভিন্নভাবে আমাকে বিভিন্ন জাগায় মানহানিকর কথাবার্তা বলে আমা র মান ক্ষুণ্ণ করেন। এলাকার লোকজন আমাকে ভালোবাসে আর আমা র জনপ্রিয়তা বেশি তাই তিনি এলাকায় আমা র নামে বাজে মন্তব্য করে বেড়ান, আমাকে নিয়ে বি ভ্রান্তিকর মন্তব্য করে বেড়ান।
আমি যেসব গরীব ও অসহায়দের ভিজিএফ চাল দিতে সুপারিশ করি তিনি আমা রগুলা বাদ দিয়ে ওনার পরিবারের সদস্য কেউ বা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কাউকে দিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে নিয়াজ ইকবাল মাসুদ ইউপি সদস্য তিনি আমা র বি রুদ্ধে অশ্লীল কথাবার্তা, অগ্রহণযোগ্য কথাবার্তা এলাকায় বলেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদ এঘটনা অস্বীকার করে বলেন মহিলা ইউপি সদস্য মিনারা বেগমের সাথে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
ভুনবীর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশীদ বলেন, ভিজিএফ চাল নিয়ে ইউপি সদস্য মিনারা বেগম ও মাসুদের সাথে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এসময় আম রা বেশ কয়েকজন তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করি। আমি বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তাদের দু’জনের কাছে প্রস্তাব করেছি তারা যদি রাজি হয় তাহলে ইউনিয়ন অফিসে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।