বাংলাদেশি গৃহকর্মী হত্যায় সৌদি গৃহকর্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
নিউজ টাইমস ২১ ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৯:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন
সৌদি আরবে বাংলাদেশি গৃহকর্মী আবরিন বেগম হ ত্যা মা মলায় প্রধান আ সামি সৌদি গৃহকর্ত্রী আয়েশা আল জিজানীকে মৃ ত্যুদ ণ্ড দিয়েছে সেদেশের একটি আ দালত।
সাজা পেয়েছেন গৃহক র্তা নিজেও। তার বি রুদ্ধে অ ভিযোগ ছিল আলামত নষ্ট ও নির্যাতিত হওয়ার পর চিকিৎসা না দেয়া।
এই দম্পতির সন্তানও মা মলার আ সামি ছিলেন। তাকেও সাজা দেয়া হয়েছে। তার বি রুদ্ধে অ ভিযোগ, তিনি বাংলাদেশি আবরিনকে নানাভাবে হেনস্থা করতেন।
রোববার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের অ প রাধ আ দালত এ রায় দেয়। রায়ে ওই গৃহকর্ত্রীর স্বামী বাসেম সালেম ও ছে লে ওয়ালীদকে জে ল-জ রিমানা করা হয়েছে।
দেশটিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নারীর নির্যাতিত হওয়ার অ ভিযোগ আছে। প্রা ণও হারিয়েছেন বহুজন। অর্থ উপার্জনের আশায় হিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে দেশে ফিরেছেন বহু শ্রমিক। এসব ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর সংসারেও ফিরতে পারছেন না বহু নারী। তারা এখন দেশে সেফ হোমে অবস্থান করছেন।
এসব ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মধ্যে প্রথম এই রায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ কাউন্সিলর মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় গৃহকত্রীকে মৃ ত্যুদ ণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলামত ধ্বংস ও গৃহকর্মীকে চিকিৎসা না দেয়ার দায়ে গৃহক র্তা বাসেম সালেমনকে মোট ৩ বছর ২ মাস কারাদ ণ্ড এবং ১১ লাখ ২৭ হাজার টাকা জ রিমানা করা হয়েছে।‘
অ পর আসমি ওই দম্পতির কি শোর ছে লে ওয়ালিদ বাসেম সালেমেরও বিচার হয়েছে এই মা মলায়। তবে তার বি রুদ্ধে খু নে জ ড়িত থাকার অ ভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তবে গৃহকর্মী আবরিনকে নানাভাবে হে নস্তা করার দায়ে তাকে সাত মাসের জন্য কি শোর সংশোধনাগারে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আ দালত।
এই রায়ের বি রুদ্ধে ১৬ মা র্চ পর্যন্ত আপিলের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে আবিরনের মৃ ত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে আ দালত। হ ত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি সৌদি শরিয়া আইন অনুযায়ী সাজা দেয়া হবে বলেও তখন জানানো হয়।
২০১৯ সালের ২৪ মা র্চ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আজিজিয়ায় সৌদি গৃহকর্ত্রীর নি র্যা তনে নি হত হন বাংলাদেশি গৃহকর্মী আবিরন বেগম যা পরবর্তীতে হ ত্যাকা ণ্ড বলে হাসপাতা লের ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়।
সৌদি আরবে নি র্যা তনের শিকার হয়ে দেশে ফেরা নারীদের হিসাব রাখছে ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক।
সেখানকার হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে একই বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ২২ জন নারী গৃহকর্মীর ম রদেহ এসেছে।
এদের সিংহভাহই হ ত্যার শিকার হয়েছেন বলে অ ভিযোগ আছে।
২০১৬ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৫০০ নারীর ম রদেহ এসেছে। এদের মধ্যে ৮১ জনের আত্মহ ত্যার তথ্য রয়েছে। বাকিরা হ ত্যার শিকার হয়েছেন বলে অ ভিযোগ আছে।
এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিচার পায় না বলেও নানা সময় আলোচনা হয়েছে।