বেপরোয়া চলবেন আর সেবা চাইবেন আমেরিকার পুলিশের মত, বড় বেমানান!
নিউজ টাইমস ২১ ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০২১, ১:২৩:০০ অপরাহ্ন
যে দেশে মানুষকে টেনে ধরে আইন শেখাতে হয়। সে দেশে আর যাই হোক আমেরিকার পুলিশের মতো সেবা চাওয়া বড় বেমানান। আমেরিকার পুলিশের মতো সেবা চাইবেন কিন্তু
আমেরিকার নাগরিকের মতো আচরণ করবেন না, তা তো হতে পারে না। আগে নিজেকে শুধরে নিন । পরে অন্যকে শুধরাতে বলুন। আমি একদিন আম্মাকে ডাক্তার দেখিয়ে সিএনজিতে করে ফিরছিলাম।
খুব গতিতেই ছিল ড্রাইভার, একবার বলেছি ভাই আস্তে যান। পরে এক্টু শীতিল করেছিল গতি। একটানে টাইগার পাচ মোর এর আগে, তখন ট্রাফিকের ভাই সিগনাল দিয়েছে সকলকে থামার, তিনি হাত উচিতে দাড়িয়ে ছিল।
বিশ্বাস করেন সিএনজি ওয়ালা একটু দুর থেকে হ্যাচকা টান দিয়ে ট্রাফিকের ভাইয়ের পেছনে গিয়ে দাড়িয়েছে। এমন ভাবে গেছে জাস্ট চার আঙ্গুল দুরে, চার আঙ্গুল সামনে গেলেই ট্রাফিকের ভাই পড়ে যেত ধাক্কা খেয়ে
এবং তিনি তৎক্ষনাৎ মারা যেতেও পারতেন অথবা গুরুতর আহত। ট্রাফিক ভাই তো বেজায় চটলেন, হাতের লাঠি দিয়ে গুতা দিয়ে আক্রমন করতে চাইলেন। চটার ই কথা আর একটু হলেই বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
ড্রাইভারের শাস্তি হতো গাড়ি জব্দ করা হতো কিন্তু পুলিশ ভাই তো আর ফিরে আসতোনা।আমি বললাম ভাই আমিও পুলিশ বিষয়টা আমি দেখতেছি। পরে আমি উনাকে রাগান্বিত স্বরে কিছু বললাম উনি তবু উনার অপরাধ মানতে নারাজ।
ট্রাফিকের ভাই এদিকে ড্রাইভারকে শাসাচ্ছিলেন আর ওদিকে সিগনাল অমান্য করে কেউ কেউ এক পাঁ দু পাঁ করে উকি দিচ্ছিলেন সামনের দিকে। কেন ভাই? আপনার কেন সহ্য হয়না একটু সময়। কেন আপনি দায়িত্বরত ট্রাফিককে সহযোগিতা করেন না? কেন সিগনাল অমান্য করে চিপাচাপা দিয়ে আগে চলে যেতে চান? অন্যান্য দেশে ট্রাফিকবিহীন গাড়ি ঠায় দাড়িয়ে থাকে রাস্তার মধ্যে। তারা যদি পারে আমি আপনি কেন পারিনা?