বন্ধুকে হ’ত্যার পর একাই জানাজা পড়েন নেজাম, লা’শের হাত ধরে ক্ষমা’ও চান!
নিউজ টাইমস ২১ ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০২১, ১:০১:৪২ অপরাহ্ন
রাঙ্গুনিয়ায় ট্রাকচালককে অ’পহ’রণের পর হ’ত্যা ও ম’রদেহ গু’মের র’হস্য উন্মোচন করে চালকের অর্ধগলিত ম’রদেহ উ’দ্ধার করেছে পু’লিশ। ঘটনার এক মাস পর শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পু’লিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে অ’ভিযান চালিয়ে পারুয়া ইউনিয়নের একটি ডোবার মাটি খুঁড়ে ম’রদেহটি উ’দ্ধার করা হয়।
একই দিন দুপুরে ঘটনার মূল হোতা মো. নেজাম ওরফে মিজানকে (২৬) সন্দ্বীপ থেকে গ্রে’প্তার করে পু’লিশ। গ্রে’প্তার নেজাম রাঙ্গুনিয়া উপজে’লার পোম’রা হাজীপাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছে’লে।
পু’লিশের হাতে গ্রে’প্তারের পর রোববার (২৫ এপ্রিল) মো. নেজাম চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরার আ’দালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানব’ন্দিতে এসব কথা বলেন বলে আ’দালত সূত্রে জানা গেছে। জবানব’ন্দিতে নেজাম জানান, ২৫ মা’র্চ ট্রাকে বালু আনার নাম করে আজিজুলকে কৌশলে রাঙামাটির বেতবুনিয়ার একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান তিনি।
সেখানে নেয়ার পর সুযোগ বোঝে ট্রাকে থাকা রেঞ্জ দিয়ে আজিজুলের মা’থায় আ’ঘাত করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছু’রিকাঘাতে হ’ত্যা নিশ্চিত করেন। এরপর লা’শ লুকিয়ে রাখেন পাহাড়ের গহীনে।
ঘটনার একদিন পর তার মা’থায় আসে জানাজা ও দাফনের চিন্তা। সে অনুযায়ী ওই রাতেই কাঁধে করে লা’শটি নিয়ে যান পাহাড়ের পাদদেশে একটি ডোবার সামনে। সেখানে নিজে একাই জানাজা পড়েন ও হ’ত্যাকা’ণ্ডের জন্য বন্ধুর কাছে মাফ চেয়ে কবর দেয়ার মতো করে ডোবার তলদেশে লা’শটি গু’ম করেন। এদিকে, নি’খোঁজের এক মাস পর শনিবার রাতে পোম’রা ইউনিয়নের চৌধুরীখিল এলাকার ওই ডোবা থেকে আজিজুলের অর্ধগলিত লা’শ উ’দ্ধার করে পু’লিশ। আজিজুল একই উপজে’লার ইস’লামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাকিমের ছে’লে।
২৫ মা’র্চ ট্রাকসহ নি’খোঁজ হন আজিজুল। এ ঘটনায় পরদিন রাঙ্গুনিয়া থা’নায় জিডি করেন তার বাবা। জিডির পর ত’দন্তে নামে পু’লিশ। ১০ দিনেও সন্ধান না পাওয়ায় ৬ এপ্রিল অ’জ্ঞাতদের বি’রুদ্ধে অ’পহ’রণ মা’মলা করেন আজিজুলের মামা হায়দার আলী।
ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পর প্রযু’ক্তির সহায়তায় কক্সবাজার সদর এলাকা থেকে আজিজুলের মোবাইল ও রামু এলাকা থেকে ট্রাকটি উ’দ্ধারের পাশাপাশি অ’পহ’রণকা’ণ্ডে জ’ড়িত স’ন্দেহে দুজনকে গ্রে’প্তার করে পু’লিশ। জিজ্ঞাসাবাদে অ’পহ’রণকা’ণ্ডের সঙ্গে নেজামের সংশ্লিষ্টতার কথা জানান তারা। এরপর প্রযু’ক্তির সহায়তায় নেজামের অবস্থান নিশ্চিত করে শনিবার দুপুরে সন্দ্বীপ থেকে তাকে গ্রে’প্তার করা হয়।
গ্রে’প্তার নেজাম পোম’রা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকার নুরুল আলমের ছে’লে। সন্দ্বীপের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে হাজীপাড়ার পাহাড়ি এলাকায় থাকতেন তিনি।
এ বিষয়ে এএসপি (রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, প্রযু’ক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘ এক মাস নিরবচ্ছিন্ন ও নিবিড় ত’দন্তে ক্লুলেস মা’মলা’টির র’হস্য উন্মোচন করতে আম’রা সক্ষম হয়েছি। ঘটনার মূলহোতা নেজামকে গ্রে’প্তারের পর তার দেয়া তথ্যে ভুক্তভোগীর লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। স্ত্রী’র সঙ্গে পর’কী’য়া প্রে’ম রয়েছে স’ন্দেহে বন্ধুকে হ’ত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান নেজাম। এ ঘটনায় অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা মা’থায় রেখে ত’দন্ত অব্যাহত রয়েছে।